বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:১৫ অপরাহ্ন
সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের সাথে ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষ ও সিসিকের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (০২ জুন) মধ্যরাতে সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স শাখার কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে নগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেটের সমন্বয়ক আবু জাফর, সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, প্রণব জ্যোতি পালসহ প্রায় ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার দুপুরে নগর ভবনের সামনে সিটি পয়েন্টে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে সকালে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে কোর্ট পয়েন্ট এলাকা থেকে কয়েকটি ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করে সিটি কর্পোরেশনে নিয়ে আসা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, অভিযানের পরপরই ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকেরা জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে সিসিকের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মীরা প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন।এসময় তারা উত্তেজিত হয়ে বাহির থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে সিসিকের কর্মচারীরাও পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এদিনে বিকেলে নগর ভবনে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সভায় হামলাকারী রিকশাচালকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।এছাড়াও বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) থেকে নগরীর প্রতিটি রাস্তায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চালানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালে সরকারী এক আদেশে সিলেট নগরীতে ব্যাটারী চালিত রিকশা, টমটম চলাচল, বিক্রি ও বাজারজাত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
অবশ্য ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক সমিতি এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে একটি রিট করেছিল, তবে ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর থেকেই নগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ ছিল।
তবে সম্প্রতি নগরের বিভিন্ন সড়কে এসব রিকশা আধিক্য বেড়ে যাওয়াতে ফের অভিযানে নামে সিসিক। অভিযানে আটক করা হয় বেশ কয়েকটি রিকশা। এরপরই এর প্রতিবাদে মিছিল করে নগরভবনে প্রবেশের চেষ্টা করে রিকশা শ্রমিকরা। তখনই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।